নিজস্ব প্রতিনিধি
আজমিয়া সুলতানা নামের চল্লিশোর্ধ্ব এক নারী সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে প্রিজন সেলে আসেন গোলাম আযমের সন্তানের দাবি নিয়ে। এ সময় গোলাম আজমকে তিনি বাবা বলে পরিচয় দেন। এরপর থেকে প্রিজন সেলে একের পর এক দাবিদাররা আসতে থাকেন। কেউ বলছেন গোলাম আজম তাদের মা, কেউ বলছেন বাবা, কেউ বা আবার দুধমাতা বলেও দাবি করছেন।
অপরদিকে প্রিজন সেলের প্রস্রাবখানা কিবলামুখী বলে সন্দেহ হওয়ায় প্রস্রাবের কাঠি ঘোরাতে গিয়ে জিনিসটি বাঁকা করে ফেলেন। এ অবস্থায় হারিয়ে যাওয়া সন্তানদের অনেকেই ফিরে আসার কারণে গোলাম আজমের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে এবং তিনি কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হন।
দুপুরের পর হাসপাতালে আসেন বিশিষ্ট নদী গবেষক ড. আসিফ নজরুল। গোলাম আজমকে দুধমাতা দাবি করে তার সাথে দেখা করতে চান। এসময় আসিফ নজরুলের মুখে দুধ লেগে ছিলো। বিকেলের দিকে আসেন দৈনিক আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদক বীরশ্রেষ্ঠ মাহমুদুর রহমান। হুজুরের গর্ভে তার জন্ম হয়েছে, এমন দাবি করলে চ্যালেঞ্জ করে বসেন গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহ আমান আজমী। হুজুরের সাথে মাহমুদুরের চেহারার মিল নেই বলে দাবি করেন আজমী। এসময় মাহমুদুর রহমান বলেন, “আমি আমার বাবা রাও ফরমান আলীর চেহারা পেয়েছি।”
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে কৃষিকবি ফরহাদ মজহারকেও বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের আশপাশে ঘুরঘুর করতে দেখা গেছে। কোন পরিচয়ের দাবি নিয়ে সামনে এসে দাঁড়ান সেটাই দেখার বিষয়!
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাবা হিসেবে গোলাম আজমের ৬ ছেলে ১ মেয়ে, মা হিসেবে ১ ছেলে এবং দুধমাতা হিসেবে আরো ১ ছেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। বাকিরা এখনো তাদের পরিচয় প্রমাণ করতে পারেননি। তবে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন এভাবে চলতে থাকলে আরো ডজন খানেক সন্তানের পরিচয় বেরিয়ে আসা অসম্ভব কিছু না।