বুদ্ধির বেদনা প্রসব বেদনার চেয়েও ভয়ংকর – কলু মোর্শেদ

মহাখালী পাকিনিধি ।। ০৩ জুন ২০১১

উঠতি বয়সী বুদ্ধিজীবীদের মাঝে যার নামের সাথে তলপেটের চাপ বেশি,তিনি হলেন কলু মোর্শেদ। তারুন্যের অহংকার, জাতির হায়হুতাশ এ ছানা বুদ্ধিজীবী টের পেলেন জনগন এখন বুদ্ধিজীবীদের ভালোবাসেন না। এর ফলে দুইবার ভেঙে পড়েছেন তিনি। নিদ্রাহীনতার দরুন চোখের নিচে কালি পড়েছে, চুলে শ্যাম্পু করেননি গত তিনদিন। সব মিলিয়ে কলু মোর্শের অবস্থা তেমন ভালো না।

"কষ্টের গায়ে লাল জামা, বেদনার গায়ে নীল!" বুদ্ধির বেদনায় ক্রমশ নীল হয়ে যাচ্ছেন কলু মোর্শেদ। তবুও চেহারায় সেই চিরচেনা হাসি!

কলু মোর্শেদ বলেন “বুদ্ধির বেদনা প্রসব বেদনার চেয়েও ভয়ংকর। বুদ্ধিমান মাত্রই তা টের পান।“ তবে এখন পর্যন্ত এ বেদনায় অনেককে আমাশয়ের অষুদ সেবন করতে হলেও মারা যাননি একজনও।

কেবল বাংলাদেশের জনগণই নয়, বহি:বিশ্বেও বুদ্ধিজীবীদের উপর মহব্বত উঠে গেছে উল্লেখ করে কলু মোর্শেদ বলেন, “ভালোবাসা মোর পুটকী মেরেছে, তোমারে করেছে মুটকী। এ ধ্রুব সত্য অস্বীকার করা যায় না। আর ক’দিন পর আমি বুদ্ধিজীবী হতে যাবো, কিন্তু ততদিনে পাতিলের তলায় থাকা শেষ ভালোবাসাটুকুনও থাকবে না।“

বুদ্ধিজীবী হওয়ার মতো যাবতীয় গুনাবলী কলু মোর্শেদের মাঝে বর্তমান। তিনি ভাতকে ‘অন্ন’ এবং জলকে ‘পানীয়’ বলতে পারেন। এ ছাড়া সেমিনারেও যেতে পারেন। কিন্তু ভালোবাসা সংকটে পড়ে কলু মোর্শেদের ইচ্ছার পশ্চাৎদেশে শিসা ঢালাই হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে তিনি তৃতীয়বারের মতো ভেঙে পড়েছেন।

উদীয়মান এ বুদ্ধিজীবী বলেন, “বুদ্ধিজীবীদের ভালো না বাসলে জাতি ভয়ংকর খাদে পড়বে। ক্রান্তিলগ্ন অত্যাসন্ন। নিখিল বাংলাদেশে ভালোবাসা চর্চা বাড়িয়ে দিতে হবে। আর্থ সামাজিক উন্নয়নের এমন সংকটের মুখে পড়ে সুশীল বুদ্ধিজীবীদের পাছায় লাত্থি মারতে অনেকেই পারবে। কিন্তু জাতি হিসেবে আমাদের ভালোবাসার ক্ষমতা প্রমাণ করার প্রয়োজন পুরিয়ে যায়নি।“

আসলেই তাই। আমাদের উচিত এখন থেকে স্ববান্ধবে না হোক অন্তত সহ পরিবারে ভালোবাসার দক্ষতা প্রমাণে নেমে পড়া। মাহেন্দ্রক্ষণ হারিয়ে গেলে রাষ্ট্রের গণতন্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।

2 Comments to “বুদ্ধির বেদনা প্রসব বেদনার চেয়েও ভয়ংকর – কলু মোর্শেদ”

  1. বুজলাম্না বাইজান, মাতার উফ্রে দিয়া গেলোগা ! কেদা এই পাপী বান্দা?

    Like

Leave a comment