Posts tagged ‘হাইকোর্ট’

January 4, 2012

প্রধানমন্ত্রীর হায়াত বাড়লো ৩ মাস

হায়াত বৃদ্ধির পর সবাইকে ভি চিহ্ন দেখাচ্ছেন

হাইকোর্ট থেকে আবুল হায়াত

ফেসবুকে ব্যক্তিগত স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনাকারী শিক্ষক মুহাম্মদ রুহুল আমীন খন্দকারকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।

এরপরই প্রধানমন্ত্রীর হায়াত ৩ মাস বেড়ে যায়  এবং রুহুল আমিনের হায়াত ৬ মাস কমে যায়। বাকি ৩ মাস হাইকোর্টের বিচারকরা ভাগাভাগি করে নিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩ মাস বেশি বাঁচার বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত বলেন, “সবই উপরওয়ালার ইচ্ছা, আমরাতো উছিলামাত্র।”

এর আগে একনেকের সভায় নতুন ৩ মাসের হায়াতের অনুমোদন দেয়া হয় এবং অনুমোদনের কপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠালে সেখান থেকে সুপারিশের কপি নিয়ে যাওয়া হয় রুহুল আমিনের কাছে। তার স্বাক্ষর নিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠালে আজ ৩ মাস হায়াত অবমুক্ত করার পক্ষে রায় দেয়া হয়।

রায় প্রধানের পর বাড়তি ৩ মাস হায়াতকে কয়েকজন মিলে ধরাধরি করে গণভবনে নিয়ে আসে। এসময় রাস্তার দু’পাশে সাধারণ মানুষ তাদের গায়ের জামা উড়িয়ে ৩ মাস হায়াতকে স্বাগতম জানায়। গণভবনে নিয়ে আসার পর হায়াতকে গোসল করিয়ে মুড়ি খেতে দেয়া হয়। বিকেলে বাড়তি এ হায়াত নিয়ে ঘুরতে বের হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ ঘটনার পর সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ কয়েকজনকে অনুরোধ করেছেন ফেসবুকে তার মৃত্যু কামনা করে স্টাটাস দিতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেউ রাজি হয়নি। বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিষয়টিকে চক্রান্ত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এ গণবিরোধী হায়াত আমার লাগবে না।”

 

 

August 19, 2011

প্রধানমন্ত্রীর হায়াতের উপর হাইকোর্টের রুল জারি

নিজস্ব পাকিবেদক ।। ১৯ আগস্ট ২০১১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হায়াত মওত নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এখন থেকে প্রধানমন্ত্রীর হায়াত কমিয়ে ফেলা বা বাড়িয়ে ফেলা নিয়ে যে কোন ধরনের কামনা বাসনার প্রতিও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সড়ক দূর্ঘটনায় মেধাবী চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং মিশুক মুনীরের নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: রুহুল আমিন খন্দকার শেখ হাসিনার মরণ হয় না কেন মর্মে আপসোস করে ফেসবুকে স্টাটাস দেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর হায়াত ২দিন কমে যায় এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীর হায়াত ৪দিন বেড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ট্যাটাস প্রদানকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেন, “কথায় কথায় হাইকোর্ট দেখানোর দিন এখনো শেষ হয়ে যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর আয়ু একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়। এটা নিয়ে হাইকোর্ট দেখানো জায়েজ আছে।”

এখন থেকে দেশের জনগন যেন মনে মনেও প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করতে না পারে সেজন্য সব ব্যবস্থা নিতে সরকার ইতোমধ্যে তৎপর হয়েছে। যেকোন ধরনের এবাদতের পর শব্দ করে প্রার্থনা করতে হবে এবং তা তদারকির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।