মতি’র প্রস্রাবখানা নিয়ে আর নিউজ করবে না কালেরকণ্ঠ

বিশেষ প্রতিবেদন ::

দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের প্রস্রাবখানা নিয়ে আর নিউজ করতে পারবে না দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলনপুরী। মতিউর রহমানের করা এক মামলার রায়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ইমদাদুল হক মিলনপুরীকে থাপ্পড় তুলেও দেননি, তবে মৃদু বকে দিয়েছেন।

মতিউর রহমান

মতিউর রহমান

গতবছর ১৫ জানুয়ারি দৈনিক কালের কণ্ঠ প্রথম আলো কার্যালয়ের প্রস্রাবখানা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয় এক ব্যক্তি প্রথম আলোর অফিসে গেলে তার ধর্মানুভূতিতে বিস্ফোরণ ঘটে। কারণ প্রস্রাবখানা কেবলামুখী (পশ্চিমমুখী)।

পরবর্তীতে মতিউর রহমান তার প্রস্রাবখানা নিয়ে নিউজ করে মানহানি করার অপরাধে কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলনের নামে প্রেস কাউন্সিলে মামলা করেন।

মামলায় মতিউর রহমান বলেন, “আমার প্রস্রাবখানা কিবলামুখী হলেও প্রস্রাবের কাঠি কিন্তু কেবলামুখী থাকে না। ওটাকে আমি দক্ষিণ দিকে ঘুরিয়ে নিই। অথচ মিলনপুরী আমার নামে নিউজ করে দিলো!” প্রস্রাবের কাঠির সঠিক নির্নয় না করে এভাবে নিউজ করা গুরুতর অপরাধ বলে মনে করেন মতিউর রহমান। তিনি বলেন, “প্রস্রাবের কাঠি একটি ফ্লেক্সিবল মেশিনারি টুল। আমার যখন যেদিকে খুশি হয়, সেদিকে ঘুরিয়ে প্রস্রাব করি। কিন্তু কখনো কেবলামুখী করি না।”

ইমদাদুল হক মিলনপুরী

ইমদাদুল হক মিলনপুরী

মতিউর রহমানের দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মামলার রায়ে ইমদাদুল হক মিলনপুরীকে কিছু দিক নির্দেশনা দেন। যার মধ্যে অন্যতম হলো মতিউরের প্রস্রাবের কাঠি কিংবা প্রস্রাবখানা নিয়ে কোন নিউজ করা যাবে না। এটা শুনে মিলনপুরী বলেন, “তাহলে আমি পত্রিকা চালাবো কিভাবে?” তখন প্রেস কাউন্সিল বলেন, “এখন থেকে কাবা শরীফের গিলাপ নিয়ে মিথ্যা নিউজ করবেন, গুজব ছড়িয়ে দেশে ধর্মীয় দাঙ্গা লাগাইবেন, হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের ফোন হ্যাক করে তার কথাবার্তা হুবহু ছাপাবেন।” এরপর মিলনপুরী রায় মেনে নেন।

প্রেস কাউন্সিল আরো বলেন, “যেহেতু রাষ্ট্রের চাইতে প্রথম আলো সম্পাদকের প্রস্রাবের কাঠি অধিক গুরুত্বপূর্ণ, সেহেতু তার প্রস্রাবের কাঠি নিয়ে কোন নয় ছয় হিসাব চলবে না।”

এ সময় মতিউর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। তিনি মিলনপুরীকে বলেন, “আপনি প্রেস কাউন্সিলের নির্দেশনা মেনে চলুন। সব ফাটিয়ে দেন। সরকার আপনাকে গ্রেফতার করলে আমরা বাকি ১৪ জন সম্পাদক আপনার জন্য বিবৃতি দিবো। কিন্তু আল্লাহর দোহাই লাগে, আমার প্রস্রাবের কাঠি নিয়ে টানাটানি করবেন না। গরীব মানুষ, মাত্র একটা প্রস্রাবের কাঠি আমার!”

শেষে মিলনপুরীকে বুকে টেনে নিয়ে মতিউর রহমান বলেন, “মিলন, তুই আমার ছোট ভাই, আর আমি তোর চুদির ভাই।”

Leave a comment