বিনোদন প্রতিনিধি
রাজীব, প্রভা এবং অপূর্বকে ক্ষমা করার পর এবার স্বয়ং লালটিপকে ক্ষমা করে দিলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির অফিস থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় লালটিপ এসে যখন ক্ষমা চায়, রাষ্ট্রপতি তখন ক্ষমা না করে থাকতে পারেননি। তবে এসময় রাষ্ট্রপতি লালটিপ সিনেমাকে হালকা বকে দেন।
মহামান্য বলেন, “তোমরা বলেছো লালটিপ এর কথা। কিন্তু পুরো সিনেমায় লাল টপস, লাল টাইটস, লাল জুতা এমনকি লাল জাঙ্গিয়াও দেখা গেছে। এতো বড় বড় জিনিস বাদ রেখে ছোট্ট একটা টিপের নামে সিনেমার নাম রেখে বাংলা চলচ্চিত্রকে অপমান করেছো। আমি বকে দিলাম, এরপর থেকে আর এরকম করবা না!”
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, “সিনেমা দেখে বের হবার পর কোন একজন দর্শকেরও লাল টিপ এর কথা মনে থাকে না। সবার চোখের সামনে লাল টাইটস ঘোরাঘুরি করে। সিনেমার নাম ‘লাল টাইটস’ হওয়া যুক্তিযুক্ত ছিলো।” এসময় তিনি লাল টাইটসকেও মৃদু ভৎর্সনা করেন। ” নিজের নামে চলচ্চিত্রে থাকতে পারলে থাকো, নইলে বিদেয় হও!” বলেন তিনি।
এর আগে লক্ষ্মীপুরের সেই আলোচিত ‘খুনি’ এ এইচ এম বিপ্লবের আরও দুটি খুনের সাজা আংশিক মাফ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বিপ্লব লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতা আবু তাহেরের ছেলে। তারও আগে গত বছরের জুলাইয়ে বহুল আলোচিত আইনজীবী নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় বিপ্লবের ফাঁসির দণ্ড মাফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। এর কিছুদিন পরে রাজীব, প্রভা এবং অপূর্ব গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমা করে দেন।
বিপ্লব এবং তার বাবা আবু তাহেরকে বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে গিয়ে লাল টাইটস সিনেমাটি দেখে আসার বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে রুল জারির অনুরোধ জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি মনে করেন বার বার ক্ষমা পেয়ে বিপ্লব ক্লান্ত হয়ে গেছে। তার এখন বিশ্রাম ও ভালোমন্দ খাওয়া দরকার। মুরগীর কলিজা, ডিমের কুসুম, কুসুমের রান সহ এরকম পুষ্টিকর খাবার না খেলে বিপ্লবের শরীর খারাপ করবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “বিপ্লবের রং লাল, টাইটসের রংও লাল। এদেশে এখন লাল টাইটস হচ্ছে, একদিন লাল বিপ্লবও হবে।”