মো: বসুন্ধরা গ্রুপ প্রতিনিধি
দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক মোহাম্মদ ইমদাদুল হক মিলনপুরী কখনো দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেন না। এমনকি তিনি পশ্চিম দিকে ফিরেও এ কাজ করেন না। কখনো যদি বাধ্য হয়ে পশ্চিম দিকে ফিরে বসতে হয়, তখন তিনি প্রস্রাবের কাঠিটি দক্ষিণ দিকে ঘুরিয়ে নেন। আজ সকাল ১০ টায় তিনি একবার প্রস্রাব করেন। সন্ধ্যায় আবার করবেন।
মোহাম্মদ ইমদাদুল হক মিলনপুরী জানান, “প্রথম আলোর সম্পাদক ভালো না। সে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে এবং সোবহানের পুটকী মারে। মতির অনেক দোষ, বলে শেষ করা যাবে না।” এছাড়াও প্রস্রাবের দিক নির্ণয় বিষয়ে তিনি এ প্রতিবেদকের সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। এক পর্যায়ে মোহাম্মদ ইমদাদুলকে প্রশ্ন করা হয় ‘এখনতো বিপদে পড়ে পশ্চিমমূখী হয়ে প্রস্রাব করতে হলেও প্রস্রাবের কাঠিটি দক্ষিণ দিকে ঘুরিয়ে নেন। এক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য আপনার ফতোয়া কী? আপনি মহিলা হলে কী করতেন?’ জবাবে মিলন বলেন, “আমি তখন পোর্ট্যাবল প্রস্রাবখানা ব্যবহার করতাম।”
এদিকে গতকাল বিকেলে মোহাম্মদ ইমদাদুল হক মিলনপুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২৩ জন উটপাখিকে আসামী করে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, “উটপাখি মাথা নিচু করে মুসলমানদের সিজদাকে অপমান করে। এতে করে বাদীর ধর্মানুভূতি, যৌন অনুভূতিতে আঘাত লাগে।” পরিবারের বাকিদেরও একই অবস্থা কি না, এ বিষয়ে বিবরণে কিছু উল্লেখ নাই।
পরে আসামী উটপাখিকে নিয়ে বিজ্ঞাপন করার অভিযোগে প্রথম আলোর বিরুদ্ধেও সাধারণ ডায়েরী করেন মোহাম্মদ ইমদাদুল হক মিলনপুরীর স্ত্রী। দৈনিক প্রথম আলো উটপাখি নিয়ে বিজ্ঞাপন করার কারণে মিলনপত্নী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন।