ময়ূরী এবং সৌদি বাদশাহ (পাশাপাশি)
নিজস্ব প্রতিনিধি
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের নিশ্চয়তা পেলেই হজ্জ্বে যাবেন সদ্য বিএনপিতে যোগ দেয়া চিত্রনায়িকা ময়ূরী। জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বৃহস্পতিবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেছেন।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি ২৫ জানুয়ারি সংসদের শীতকালীন অধিবেশন আহ্বান করেছেন। কিন্তু শীতের কোন দেখা নাই। চিত্রনায়িকা ময়ূরী বিএনপিতে যোগ দেয়ার পর থেকে শীত কমে গেছে। শীত নেই, অথচ শীতকালীন অধিবেশন ডাকলেন! আর কত মিথ্যাচার করবেন?”
জয়নুল আবেদিন রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগের সুরে বলেন, ‘আপনি সংলাপ আহ্বান করেছেন। কিন্তু সংলাপে ডাকার আগে বিএনপির ওপর হামলা-মামলা-নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া আপনার কি উচিত ছিল না? আপনার কি উচিত ছিলো না তার আগে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা? আপনার কি উচিত ছিলো না ডলারের দাম কমিয়ে আনা? আপনার কি উচিত ছিলো না যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা? আপনিতো কিছুই করেননি। তবুও সংলাপ ডেকেছেন, আমরা যাবো।’
হজ্জ্বের প্রস্তুতির খোঁজ খবর নিতে ময়ূরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “সৌদি আরব হচ্ছে আমার দ্বিতীয় মাতৃভূমি। সে দেশের রাজা বাদশাহরা দেখতে আমার মতোই। আমি বিএনপিকে যত ভালোবাসি, সৌদিকেও তত ভালোবাসি। সৌদির সাথে বিএনপি এবং ময়ূরীর নাড়ির সম্পর্ক।”
এদিকে অপর এক সূত্রে জানা গেছে এখন থেকে ব্যারিস্টার নজমুল হুদা, এ্যাডভোকেট আশিফা আশরাফী পাপিয়া এবং ময়ূরীর মতো নেতাকর্মীদের জনসভায় নেয়া হবে না। সূত্র জানায়, উনারা মঞ্চে উঠলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বিব্রতবোধ করেন। এমনকি রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠকের সময়ও অধিকতর অসুস্থ রাষ্ট্রপতির সামনে এসব নেতাকে সাথে না নেয়ার পক্ষে বিএনপির হাইকমান্ড।
দৈনিক মগবাজার 