Archive for April 16th, 2011

April 16, 2011

জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর আহবান

সরকারি পাকিবেদক ।। ১৬ এপ্রিল ২০১১

অসাম্প্রদায়িক এবং শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে কিভাবে শান্তিতে রাখা যায়, সে ব্যবস্থা করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। আমরা যেনো কর্তব্য ভুলে রাষ্ট্রের অপ্রয়োজনীয় প্রাণীরূপে পরিগণিত না হই, সে বিষয়ে প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে।

বেকার বাউলদের দেশছাড়া করে বেকারমুক্ত বাংলাদেশ করার ঘোষনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

সম্প্রদায় বহির্ভুত লোকজনকে শায়েস্তা করার জন্য নাগরিক শপথ নিতে হবে। দেশের বাউলরা কোন উঁচু সম্প্রদায়ভুক্ত নয়। তাই কোথাও কোথাও আওয়ামী লোকজন তাদেরকে হালকা ডলার উপর রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো কিছুদিন সময় চেয়ে বলেছেন, “আপনারা আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন। যারা বেকার থেকে লাপাঙ্গা পোলাপানের মতো গান গেয়ে বেড়ায়, আমরা তাদেরকে এ দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবো। দেশকে বেকারত্বমুক্ত করবোই করবো।”

বাউলদের চুল দাঁড়ি কাটার জের ধরে একজন মুফতিকে গ্রেফতার করা হলো, অথচ মূল হোতা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাল ছেঁড়াও হচ্ছে না কেন? – জনমনের এরকম প্রশ্নের প্রসংগ টেনে বাণীতে বলা হয়, “চুল দাঁড়ি কেটে ফেলার বিষয়ে আদলতের সুনির্দিষ্ট কোন বিধি নিষেধ নেই। থাকলে দেশের নাপিত সম্প্রদায়ের বিলুপ্তি ঘটতো। কিন্তু ফতোয়ার বিষয়ে পস্ট নিষেধাজ্ঞা আছে। মুফতি ফতোয়া দিয়েছে তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামী নেতারা বাল কাটার কাজ করে কোন গুরুতর অপরাধ করেনি।”

April 16, 2011

আমিনীর ছেলের মুক্তি চাইলেন মির্জা ফখরুল

বাৎসায়ন নামক এক লুইচ্চা "কামসূত্র" বইটি লিখেছিলেন

সুখপাকি নিধি ।। ১৬ এপ্রিল ২০১১

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আমির মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলের মুক্তি দাবি করেছেন ।
আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল এ দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকারের নির্দেশে বিশেষ বাহিনী আমিনীর ছেলেকে কোলে করে তুলে নিয়ে গেছে। তিনি অবিলম্বে আমিনীর ছেলেকে বিএনপির হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, “আমিনীর ছেলে খুব কর্মঠ। সে ভালো কাম বুঝে। এরকম একটি কামুক ছেলেকে আটকে রেখে দেশের কামকাজ সবকিছুতে স্থবিরতা নিয়ে আসার কোন মানে থাকতে পারে না।“

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, “আমি ছেলেটিকে দেখেছি। অত্যন্ত কামের পোলা। তাকে কিডন্যাপের দিনও এক হুজুরের সাথে কামে ব্যস্ত ছিলো। এতো কাম পাগল ছেলে আমি দেখিনি। সারাদিন কামে ভিজে রোদে শুকোয়।“

উল্লেখ্য, কয়েকনি আগে আমিনীর ছেলেকে কে বা কাহারা রাস্তার পাশে এক হুজুরের গাড়ি ঠিক করার সময় ধরে নিয়ে গেছে। আমিনী বলছেন, হাসিনার হুকুমে তার ছেলেকে গুম করা হয়েছে।

April 16, 2011

আবার কলম যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছি… অ্যাঁ – মাহমুদুর রহমান

লম্বা লম্বা কলম নিয়ে যুদ্ধে যাচ্ছে মাহমুদ ভাইয়ের সৈন্যরা

কক্সবাজার পাকিনিধি ।। ১৬ এপ্রিল ২০১১

দৈনিক আমারদেশ পত্রিকার জেলফেরত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কক্সবাজার গিয়েছিলেন টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মানহানি মামলায় হাজিরা দিতে। একজন সম্পাদক হিসেবে রিমান্ডে আন্ডা খাওয়ার মতো বিরল কৃতিত্ব অর্জনের জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতারা প্রায় ৭০ টাকার ফুল কিনে মাহমুদুর রহমানকে সংবর্ধনা দেন।

তাৎক্ষণিক এক বক্তৃতায় মাহমুদুর রহমান বলেন, “ইকোনো বলপেন দেশের ঐতিহ্যবাহী কলম। অথচ সে ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। বাজারে এখন হাজারো কম্পানির বলপেন পাওয়া যায়।“

সরকারের এহেন ব্যর্থতায় শোকাক্রান্ত মাহমুদ দু:খভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলেন, “ইকোনো বলপেনের সম্মান ফিরিয়ে আনার জন্য এখনই আন্দোলন শুরু করে দিতে হবে।“

স্থানীয় এক বিএনপি নেতা তার বক্তব্যে বলেন, “আমাদের মহান নেতা ইকোনো বলপেন হাতে নাচিয়ে নাচিয়ে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন। অথচ এখন এ বাকশালী সরকার বাজারে হাজার হাজার কলম কম্পানিকে ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে আছে। এ ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটিয়ে শহীদ জিয়ার কলমবান্ধব রাষ্ট্রনীতি কায়েম করতে হবে।”

উপস্থিত এক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে প্রশ্ন করেন,  “ইকোনোর সম্মান রক্ষার্থে আপনি কোন বাল ফালাচ্ছেন?” জবাবে মাহমুদুর রহমান বলেন, “আমি আবার কলম যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছি… অ্যাঁ!”